Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Moumita Chakraborty | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩ : ২৫Moumita Ganguly
আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ সুস্থ এবং নিরোগ ভাবে সকলেই বেঁচে থাকতে চান। প্রতিদিনের জীবনের পাহাড় প্রমাণ কাজের চাপ,ব্যস্ততা ও স্ট্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে করতে খেই হারিয়ে ফেলছেন প্রায় প্রত্যেকেই।এসবের সঙ্গে প্রতিনিয়ত জুঝতে গিয়ে বাঁচার ইচ্ছেটাই এক সময় শেষ হয়ে আসে।অনিয়ম ও স্ট্রেসকে সঙ্গী করেই দীর্ঘদিন বাঁচতে হবে। পাশাপাশি নিজেকে ভালও রাখার দায়িত্ব যে আপনারই।
নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার চাবিকাঠি। এমনটাই প্রায় সকলের ধারণা।তবে বিভিন্ন সমীক্ষার ফলাফল তো অন্য কথা বলছে। দীর্ঘায়ুর জিয়নকাঠি তো একাধারে খাদ্য, ওষুধ এবং বিষ,সব একসঙ্গে।
চিন্তায় পড়ে গেলেন কি সেই জিয়নকাঠি?
তারা হলেন ডার্ক চকোলেট,ওয়াইন ও বিয়ার। অবাক হবেন না।এটাই সত্যি।
এই সবেই লুকিয়ে আয়ু বৃদ্ধির রহস্য।
ওয়াইনে করুন বাজিমাত: বিশেষজ্ঞের মতে প্রতিদিন যদি এক পেগ করে ওয়াইন খাওয়া যায় তবে শরীর থাকবে নীরোগ ও চনমনে।রক্তে খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কা কমায় রেড ওয়াইন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন রকমের ক্যান্সারের কোষকে নষ্ট করে এবং কার্ডিও-ভাস্কুলার ডিজিজ প্রতিরোধ করে।রেসভেরাট্রলের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে ফ্যাট জমতে দেয় না। রক্তে ভাল কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনার হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে আর চিন্তা নেই।
ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হলে ভরসা রাখুন সেই এক পেগ ওয়াইনেই।নিয়মিত সামান্য রেড ওয়াইন খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কমবে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসও কমিয়ে দেয় ওয়াইন।অ্যালজাইমার্স থেকে ত্বকের বলিরেখা নিয়ন্ত্রণে,সবেতেই ভরসা ওয়াইন।তাই খুব বেশি নয়, রোজ সামান্য ওয়াইন খেলে শরীর ও মন উভয়ই সুস্থ থাকবে।
ডার্ক চকোলেটের কেরামতি: মিষ্টি স্বাদের এই খাবার বাচ্চা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সবাই খেতে পছন্দ করে। কিছু ক্ষতিকর দিক থাকার কারণে অন্যান্য চকলেট খেতে নিষেধ করা হলেও ডার্ক চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। শরীরের জন্য উপকারী এই খাবার বারংবার পাওয়া খিদে কে কমায়।তাই কয়েক কেজি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করলে,ডায়েটে ডার্ক চকোলেটের একটি ছোট অংশ অবশ্যই রাখুন।
প্রতিদিন চকোলেট খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কারণ চকলেটের প্রধান উপাদান কোকোতে উপস্থিত পেন্টামার নামে একটি যৌগ ক্যান্সারের যম।
জানেন কি চকোলেট একটি দারুণ স্ট্রেস বুস্টার।এটি মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমাতে কার্যকরী। চিকিত্সকদেরও একই মত।ডার্ক চকলেটের একটি ছোট কামড় মস্তিষ্কে ডোপামিন হরমোন নিঃসরণ করে, যা মস্তিষ্ককের খেয়াল রাখে ও মেজাজ বেশ ভাল থাকে।তাই সামান্য ডার্ক চকোলেট খেতে ভাববেন না।
বিয়ারেই লুকিয়ে সমাধান: বন্ধুদের সঙ্গে উইকেন্ড পার্টিতে বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিয়ে চিল করেন অনেকেই। বিয়ারে ৪ থেকে ৬ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে। এছাড়া বিয়ারে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফোলেট ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর উপাদান।তাই বিয়ার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও অনেকাংশে হ্রাস পায়।পাশাপাশি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে বিয়ার।শরীরে খারাপ কোলেস্টরল এলডিএলের পরিমাণ কমিয়ে এইচডিএল অর্থাৎ ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে এই পানীয়।
হার্টকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে বিয়ার।এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৪৩ শতাংশ কমে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করায় ডায়বেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে কয়েক চুমুক বিয়ার খেতেই পারেন।
কম ক্যালোরিযুক্ত ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকায় এই পানীয় শরীরে মেদ বৃদ্ধি হতে দেয়না। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, একসঙ্গে তিনটের বেশি বিয়ার না খাওয়াই ভাল। সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন খেতে পারেন।
Advertisement
এই বিভাগের আরও খবর
Advertisement