নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫ : ০৯Soma Majumder
আজকাল ওয়েব ডেস্ক: মায়ের শনিবার আমিষ খাওয়া যাবে না, ঠাম্মার আবার মঙ্গলবার আমিষ খেলে অমঙ্গল হবে! কম-বেশি সব বাঙালি বাড়িতেই সপ্তাহে এক-দু’দিন নিরামিষ খাওয়ার নেপথ্যে এমনই সব নিয়ম থাকে। কিন্তু মাছ-মাংসের স্বাদ কি নিরামিষে পাওয়া যায়! তাই তো সেই দিনগুলিতে মুখ বেজার করে থাকেন অনেকেই। তবে এমন তিনটি নিরামিষ পদ রয়েছে, যা ভুলিয়ে দিতে পারে আমিষ খাবারের স্বাদও। তাহলে চেখে দেখবেন নাকি? আগে জেনে নিন কী কী সেই পদ? কীভাবে বানাবেন?
মশলা সয়াবিন: একটু তেল-মশলা দিয়ে কষিয়ে সয়াবিন রান্না করতে পারলে তা মাংসের মতোই খেতে লাগে। তাই নিরামিষ খাবারের মধ্যে সয়াবিনের কদর বরাবরই বেশি। কষা মাংস ব্যবহার করতে যে-যে উপকরণ প্রয়োজন, সেই সব দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন মশালা সয়াবিন। যার জন্য বড় আকারের সয়াবিন সেদ্ধ করার পর হালকা করে ভেজে নিন। মশলার সঙ্গে অনেকক্ষণ কষিয়ে রান্না করলে কিন্তু কোনও রকম গন্ধ আর থাকবে না, সঙ্গে রান্নার স্বাদও বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। সব শেষে ঘি আর গরম মশলা দিতে ভুলবেন না যেন। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে মশলা সয়াবিন।
সয়া চাপ কারি: দোকানে বানানো চাপ নয়, বাড়িতেই সহজে বানিয়ে নিতে পারেন সয়াবিন চাপ কারি। প্রথমে সয়াবিনের পেস্ট আর ময়দা মিশিয়ে মণ্ড বানিয়ে নিন। এবার সেই মণ্ড থেকে রুটির মতো সরু সরু আকারে কেটে নিয়ে কাঠির মধ্যে রোল করে নিন। তারপর সেগুলিকে জলে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচালঙ্কা, সব রকম গুঁড়ো মশলা আর দই দিয়ে মশলা তৈরি করে তার মধ্যে সয়া চাপ ভাজা দিয়ে কষিয়ে নিলেই মাংসের মতো সুস্বাদু পদ তৈরি হয়ে যাবে।
এঁচোড়ের কালিয়া: বাঙালি হেঁশেলে সাধারণত এঁচোড়ের ডালনা কিংবা চিংড়ি মাছ দিয়ে এঁচোড় রান্নার চল বেশি। কিন্তু অনুষ্ঠান বাড়িতে অনেক সময়ই মাংসের মতো কষিয়ে এঁচোড় রান্না করা হয়। তেমনই পদ রাঁধতে এঁচোড়ের টুকরোগুলি একটু বড় মাপের করে কেটে নিন। দেখতেও খানিকটা মাংসের মতোই লাগবে। এই রান্নায় পেঁয়াজ, রসুন একটু বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা হয়। এবার এঁচোড়ের টুকরোগুলিকে নুন, হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে ভাল করে নিতে হবে। তারপর পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি দিয়ে ভেজে নিয়ে রান্না করতে হবে।
Advertisement
এই বিভাগের আরও খবর
Advertisement