দেবস্মিতা | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯ : ৪০Debosmita Mondal
আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে খোঁজ মিলল নিখোঁজ ট্রলারের। চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল ট্রলারটি। এফবি নীলকণ্ঠ নামে ওই ট্রলারের খোঁজ পাওয়া গেল সুন্দরবনের চাঁদখালি ফরেস্ট ক্যাম্পের কাছে। জানা গিয়েছে, উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চাঁদখালি জঙ্গলের কাছে ভেসে থাকতে দেখতে পান বনদপ্তরের আধিকারিকরা। খোঁজ পাওয়ামাত্রই মৎসজীবীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে, এমনটাই জানানো হয়েছে আধিকারিকদের তরফে।
আপাতত তাদের ক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলে মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে। খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত উদ্বিগ্নে ছিলেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা। সোমবার সকাল থেকেই তাঁরা ট্রলার মালিকের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছিলেন। সবার চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। নিখোঁজ মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁরা সঠিক কোনও খবর পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে এফ বি বাবা নীলকন্ঠ ট্রলারের নিখোঁজ এক মৎস্যজীবীর ছেলে অতনু মিত্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘শুক্রবার খবর আসে ট্রলারটির কোনও খোঁজ নেই। তারপর থেকে সঠিক কোনও খবর পাচ্ছি না। আমরা চাই সরকার বিষয়টি দেখুক। উপকূলরক্ষী বাহিনীও সঠিকভাবে খবর দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে চরম উৎকণ্ঠায় কাটছে।’
কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী সংগঠনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছিলেন, ‘সোমবার রাত পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারের দুটি ট্রলারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। একটি হল এফ বি শ্রীহরি ও অপর ট্রলারটির নাম এফ বি মারিয়া। এফ বি শ্রীহরি ট্রলারের ১৯ জন ও এফ বি মা রিয়া ট্রলারের ১৪ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু কাকদ্বীপের এফ বি বাবা নীলকন্ঠ নামক একটি ট্রলারের ১৬ জন মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ট্রলারটির খোঁজে তল্লাশি চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও তল্লাশি শুরু হবে। এখন দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। তাই মৎস্যজীবী সংগঠন থেকে পাঁচটি ট্রলার তল্লাশির জন্য সমুদ্রে পাঠানো হবে।’ অবশেষে খোঁজ মিলল তার। নিশ্চিন্তের হাসি ফুটেছে মৎসজীবী পরিবারগুলির মুখে।
Advertisement
এই বিভাগের আরও খবর
Advertisement