নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬ : ২৯Soma Majumder
আজকাল ওয়েব ডেস্ক: চোখ সৌন্দর্যের একটি অন্যতম অংশ। যার চোখ যত পটলচেরা, সে ততই সুন্দর। তবে মায়াবী নয়নের চারধারে যদি কালো দাগ পড়ে তাহলে সৌন্দর্যের ব্যাঘাত ঘটে বই কী!। আজকাল ত্রিশ বছরেও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর বয়স বাড়লে তো কথাই নেই। জীবনের চাপে ক্রমশ চোখের ধারে বাড়ছে ডার্ক সার্কল।
ত্বকের রঙের গাঢ়ত্ব নির্ভর করে মেলানিন নামক একটি রঞ্জকের উপর। যার যত বেশি মাত্রায় মেলানিন থাকবে তার ত্বক তত কালচে হবে। চোখ এবং চুলের রং কালো হওয়ার পিছনেও ভূমিকা রয়েছে এই রঞ্জকের । অনেকের চোখের চারপাশে এই রঞ্জক অনেকটা বেশি পরিমাণে জমা হয় তাই সেই নির্দিষ্ট জায়গার ত্বকের রং গাঢ় খয়েরি হয়ে যায়। যা ডার্ক সার্কল হিসাবে দেখা দেয়। যে কোনও বয়সের মানুষের জন্যই এই ডার্ক সার্কল খুব অস্বস্তিকর।
চোখের তলায় কালির পিছনে সাধারণ বেশ কয়েকটি কারণ থাকে। যেমন অনিদ্রা অর্থাৎ রাতে ৬-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম না হলে সাধারণত ডার্ক সার্কল পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আজকের যুগে যেখানে প্রতিযোগিতা প্রতি মূহূর্তে সেখানে একচুলও বিরাম নেওয়ার অবকাশ নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই মানসিক চাপ বইতে বইতে চোখের নিচে কালি পড়বেই। আবার কারও যদি হঠাৎ করে ওজন কমে তবে শরীরের অনেক রকম প্রক্রিয়াগত অসুবিধাও হয়। ফলে ডার্ক সার্কল দেখা দিতে পারে। 'অ্যা টোপিক ডার্মাটাইটিস' নামক এক ধরনের অ্যালার্জিও চোখের তলায় কালি পড়ার কারণ হতে পারে। অনেকের জন্মগত ডার্ক সার্কলের সমস্যা থাকে। আবার অনেক সময় শরীরে রক্ত চলাচলের উপরও নির্ভর করে ডার্ক সার্কল।
এ তো গেল সাধারণ কারণ। আসলে অনিদ্রা বা হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়াটা কিন্তু অনেক রকম গুরুতর রোগের পূর্বাভাস হতে পারে। যেমন হাইপোথাইরয়েডিজম, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিস, রক্তাল্পতা বা ক্যানসার। রক্তাল্পতা হলে ত্বকের কিছু জায়গায় পিগমেন্টেশন বেড়ে যায়। আর কিছু জায়গায় পিগমেন্টেশন কমে গিয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যায়। ফলে চোখের কালি আরও স্পষ্ট বোঝা যায়। এছাড়া চোখে কোনও আঘাত লাগলেও এমন হতে পারে।
Advertisement
এই বিভাগের আরও খবর
Advertisement